প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গৌতম আদানির ৩ ঘণ্টার ঢাকা সফর
যোদ্ধা ডেস্কঃ ভারতের আলোচিত ব্যবসায়ী গৌতম আদানি গতকাল শনিবার সংক্ষিপ্ত সফরে ঢাকায় এসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তার প্রতিষ্ঠিত আদানি গ্রুপের নির্মিত গোড্ডা বিদ্যুৎকেন্দ্রের বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হওয়ার ২০ দিনের মাথায় তিনি ঢাকা ঘুরে গেলেন।
আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান গৌতম আদানি গতকাল এক টুইট বার্তায় বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার আলট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল গোড্ডা বিদ্যুৎকেন্দ্রের পুরো সক্ষমতায় উৎপাদন বুঝিয়ে দিতে পেরে (আমি) সম্মানিত।’ তিনি আরো লেখেন, ‘ভারত ও বাংলাদেশের সাহসী সেই দলকে স্যালুট জানাই, যারা করোনা মহামারির মধ্যেও কাজ শুরু করে মাত্র সাড়ে ৩ বছরের রেকর্ড সময়ে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি উৎপাদনে নিয়ে এসেছে।’ বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয় সুত্র জানায়, গতকাল সকাল ১১টার দিকে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন গৌতম আদানি। তার ঘণ্টাখানেক আগে নিজস্ব উড়োজাহাজে করে তিনি বাংলাদেশে পৌঁছান এবং বৈঠক শেষে দুপুর ১টার পর তিনি ফিরে যান।
গত ২৫ জুন ভারতের ঝাড়খ- রাজ্যের গোড্ডা জেলায় অবস্থিত আদানি বিদ্যুৎকেন্দ্র পুরোদমে উৎপাদন শুরু করে। এর আগে গত এপ্রিলে সক্ষমতার অর্ধেক বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়। ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াট সক্ষমতার ওই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি তৈরি করা হয়েছে শুধুমাত্র বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে। ২৫ বছরের চুক্তিতে ওই বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ কিনছে বাংলাদেশ। আদানির কাছ থেকে বিদ্যুৎ কিনছে বাংলাদেশ।
গত জানুয়ারি মাসে গৌতম আদানি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে খবরের শিরোনাম হয়েছিলেন। ২৪ জানুয়ারি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিনিয়োগ গবেষণা সংস্থা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ আদানি গ্রুপের ব্যবসায় কারসাজি নিয়ে একটি খবর প্রচার করে। ওই খবর প্রচারের পর আদানি গ্রুপের শেয়ারে ধস নামে এবং দুদিনে ক্ষতি হয় প্রায় ৫ হাজার কোটি ডলার। সারাবিশ্বে আলোচনায় উঠে আসেন গৌতম আদানি। প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, কোম্পানিতে প্রমোটর বা মালিকের কারসাজির ফলেই স্টকের দাম বাজারে ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে দেখানো হয়েছে। আদানিরা অন্য লোকের ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট থেকে প্রচুর শেয়ার কিনে নিজের শেয়ারের দাম বাড়িয়েছে, যা এককথায় বিনিয়োগকারীদের চোখে ধুলো দেয়ারই নামান্তর। এ ধরনের জালিয়াতির তালিকায় নাম রয়েছে আদানির পাঁচ কোম্পানির।
ধনকুবের গৌতম আদানি গুজরাটের বাসিন্দা। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নিজ রাজ্যও গুজরাট। দেশটির প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস প্রায়ই আদানি ও অন্য ধনীদের বিরুদ্ধে মোদি সরকারের কাছ থেকে ব্যবসায়িক নীতিগত সুবিধা পাওয়ার বিষয় নিয়ে অভিযোগ করে আসছে।