দিনাজপুর

বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীনতা একই সুতোয় গাঁথা

যোদ্ধা ডেস্কঃ মানব ইতিহাসে জঘণ্যতম হত্যাকান্ড জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপরিবারে হত্যা করা হয় এ মাসে। ১৯৭৫ সালের এই মাস তাই জাতির সবচেয়ে বড় কালো অধ্যায়। সে জঘণ্যতম হত্যাকান্ড যে মাসে সংঘঠিত হয়েছিল সেই কালিমালিপ্ত বেদনাবিধুর শোকের মাস আগস্টের আজ ৫ম দিন। অথচ বাংলাদেশের স্বাধীনতার এসেছিল মূলত বঙ্গবন্ধুর বলিষ্ট নেতৃত্বেই। তিনিই বাঙালীদের স্বাধীনতার স্বপ্নদ্রষ্টা।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং স্বাধীন বাংলাদেশের মধ্যে সুদীর্ঘ ধারাবাহিক সংগ্রামের ইতিহাস একই সুতোয় গাঁথা। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ৬ দফার আন্দোলন হয়ে সর্বশেষ বাংলাদেশের স্বাধীনতা বা বাঙালি জাতির মুক্তির সংগ্রামে মহানায়কের ভূমিকায় ছিলেন বঙ্গবন্ধু। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর দেওয়া সেই ঐতিহাসিক ভাষণকে স্বাধীনতার মূলমন্ত্র হিসেবে আখ্যায়িত করেন ইতিহাসবিদরা। ওই ভাষণের মন্ত্রে দিক্ষিত হয়েই বাঙালীরা ঝাঁপিয়ে পরেছিল ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে। মূলত বঙ্গবন্ধুর এই ভাষণেই ছিল দেশকে স্বাধীন করার সুস্পষ্ট ঘোষণা ও নির্দেশনা। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর দেশের অর্থনীতিকে বঙ্গবন্ধু যেভাবে সাজাতে চেয়েছিলেন তাই এখনও অনেক ক্ষেত্রে দেশের অর্থণৈতিক মূল কাঠামো বলেই বিশ্লেষকরা মনে করেন। আসলে মূলত অর্থনৈতিক মূল্যবোধ ও মননচর্চার সামগ্রিক মুক্তির ইঙ্গিত দিয়েই বঙ্গবন্ধুর আধুনিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলন। যার জন্যই ছিল বাংলার মুক্তির সংগ্রাম। তাই বাংলাদেশের এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে বঙ্গবন্ধুর অবদান-অগ্রযাত্রার স্বপ্নকেও বিশ্বজুড়ে এগিয়ে নিতে হবে বলেই মনে করেন ইতিহাসবিদরা।

এমন আরো সংবাদ

Back to top button