চট্টগ্রামে ভোট পড়েছে ২২.৫২ ভাগ
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মোট ২২.৫২ ভাগ পড়েছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। গতকাল বুধবার ভোটের বেসরকারি ফলাফল প্রকাশের পর আজ বৃহস্পতিবার এই তথ্য জানানো হয়েছে। চট্টগ্রামের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নির্বাচনে বেসরকারিভাবে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের মনোনীত পদপ্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী।
সেখানে মেয়র পদে মোট সাতজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। এর মধ্যে রেজাউল করিম চৌধুরী নৌকা মার্কায় ভোট পড়েছে তিন লাখ ৭৯ হাজার ২৪৮ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির ডা. শাহাদাত হোসেন পেয়েছেন ৫২ হাজার ২৪৮ ভোট।
এ ছাড়া মেয়র পদে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী জান্নাতুল ইসলাম হাতপাখা প্রতীক পেয়েছেন আট হাজার ৯৮০ ভোট, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) আবুল মনজুর আম প্রতীকে পেয়েছেন চার হাজার ৬৫৩ ভোট, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের এম এ মতিন মোমবাতি প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন দুই হাজার ১২৬ ভোট, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের প্রার্থী মুহাম্মদ ওয়াহেদ মুরাদ চেয়ার প্রতীক পেয়েছেন এক হাজার ১০৯ ভোট এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী খোকন চৌধুরী হাতি প্রতীকে পেয়েছেন ৮৮৫ ভোট।
রিটার্নিং কর্মকর্তা আরো জানান, নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডে ভোটার সংখ্যা ১৯ লাখ ৩৮ হাজার ৭০৬ জন। এর মধ্যে চার লাখ ৩৫ হাজার ৪৯০ ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। এর মধ্যে বাতিল হয়েছে এক হাজার ৫৩টি ভোট। ফলে মোট বৈধ ভোটের সংখ্যা চার লাখ ৩৬ হাজার ৫৪৩ টি।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে মোট কেন্দ্র ৭৩৫টি। এর মধ্যে সংঘর্ষের কারণে দুটি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে। বুধবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ চলে। ভোট চলাকালে দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় গুলিতে একজন নিহত হওয়া ছাড়াও ভাইয়ের ছুরিকাঘাতে ভাই নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া বিভিন্ন স্থানে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
এই নির্বাচনে ১৪ সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে প্রার্থী ছিলেন ৫৭ জন। সাধারণ ৪১ ওয়ার্ডের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে ৩৯ ওয়ার্ডে। ১৮ নম্বর পূর্ব বাকলিয়া ওয়ার্ডে সাবেক কাউন্সিলর হারুনুর রশিদ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। আর ৩১ নম্বর আলকরণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী তারেক সোলেমান সেলিম মৃত্যুবরণ করায় ওই পদে নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। তবে ওই ওয়ার্ডে মেয়র ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ভোটগ্রহণ করা হয়েছে। ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগের প্রার্থী হোসেন মুরাদ ইন্তেকাল করলে সেখানে আবদুল মান্নানকে চূড়ান্ত প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়।