নির্বাচন ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করেছে আওয়ামী লীগ : বদিউল আলম
নির্বাচন ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করেছে আওয়ামী লীগ : বদিউল আলম
যোদ্ধা ডেস্কঃ সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, ডামি, একতরফা ও মধ্যরাতের নির্বাচন করে নির্বাচন ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করেছে আওয়ামী লীগ। যারা ডামি নির্বাচনের আয়োজন করেছে তারা সুস্পষ্টভাবে সংবিধান লঙ্ঘনকারী। সংবিধান লঙ্ঘনের অভিযোগে বিচার হওয়া দরকার। সাবেক প্রধানমন্ত্রী পালিয়ে যাওয়ার পর আওয়ামী লীগের অনেকেই পালিয়ে গেছেন। নেতৃত্ব দেওয়ার মতো কাউকে এখন খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। আওয়ামী লীগ ছাড়া জাতীয় নির্বাচন হলে তা অগ্রহণযোগ্য হবে না।
গতকাল শনিবার ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি›র আয়োজনে ‘গণতন্ত্র সুরক্ষায় রাষ্ট্র মেরামত এবং জাতীয় নির্বাচন’ শীর্ষক ছায়া সংসদ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। বদিউল আলম মজুমদার বলেন, বর্তমান সরকার তত্ত্বাবধায়ক সরকার নয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছিল রুটিন সরকার। অন্তর্বতীকালীন সরকারকে পনের-ষোলো বছরের জঞ্জাল দূর করতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে। তারপরেও জাতীয় নির্বাচন বিলম্বিত হলে অন্তর্বতী সরকারের প্রতি জনগণের আস্থা কমতে পারে। গত ৩ ডামি নির্বাচনে অভিযুক্ত সবার বিচারের দাবিয়ে জানিয়ে বদিউল আলম বলেন, গত তিনটি নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন, পুলিশ, প্রশাসন, রিটার্নিং অফিসার, পোলিং অফিসারসহ নির্বাচনের সঙ্গে যুক্ত প্রায় সবাই অপরাধী কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল। কমিশন নির্বাচন ব্যবস্থাকে বিভিন্ন অজুহাতে দলীয়করণ করে সংবিধানের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন করেছে। আদালতের নির্দেশ অমান্য করেছে। অতি-উৎসাহী হয়ে পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করেছে। তাই নির্বাচনী অপরাধে অভিযুক্ত সবাইকে বিচারের বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা উচিত। তিনি বলেন, নির্বাচনের জন্য সমতল ক্ষেত্র প্রস্তুত করতে পারেনি। সেসময় উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে সরকারের রূপরেখা বাস্তবায়নের জন্য কয়েকটি কথিত দলকে নিবন্ধন দিয়েছে। সভাপতির বক্তব্যে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, এদেশের মানুষ ভুলে যায়নি কীভাবে দিনের ভোট রাতে হয়েছিল। মৃত মানুষ ভোট দিয়েছে। বিদেশে অবস্থানরত ব্যক্তিরাও ভোট দিয়েছে। কোথাও কোথাও শতভাগ ভোট পড়েছে। শিশুরাও ভোট দিয়েছে। আমি আর ডামি প্রার্থীর নির্বাচন হয়েছিল। ৮ থেকে ১০ শতাংশ ভোট পড়লেও ভোটের সংখ্যা বাড়িয়ে ৪০ থেকে ৪৫ শতাংশ দেখানো হয়েছিল। বিশেষ পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগের বিচার শেষ সম্পন্ন না হলে এবং তারা পুনর্গঠিত হতে না পারলে নির্বাচন বাধাগ্রস্ত হবে না। যারা ডামি নির্বাচনের আয়োজন করেছে তারা সুস্পষ্টভাবে সংবিধান লঙ্ঘনকারী। সংবিধান লঙ্ঘনের অভিযোগে বিচার হওয়া দরকার বলেও মনে করেন বদিউল আলম মজুমদার। না হলে আগামীতে দৃষ্টান্ত সৃষ্টি হবে না। তিনি বলেন, বিগত তিন জাতীয় নির্বাচন পরিচালনায় যুক্ত ১০ লাখ মানুষ সবাই নির্বাচনী অপরাধী, তাদের শাস্তি হওয়া যৌক্তিক। নির্বাচন সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আরপিও আইন ও নির্বাচন কমিশন নিয়োগ আইন সংস্কারের প্রস্তাব দেয়া হবে। ছায়া সংসদে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিতার্কিকদের পরাজিত করে ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বিতার্কিকরা বিজয়ী হন।