দেশহাই লাইটস

তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করব

যোদ্ধা ডেস্কঃ রংপুরবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি চীনের অর্থায়নে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবির প্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, আমরা তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করব। কারণ আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে দেশের উন্নয়ন করা, দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করা। ইতোপূর্বেও আমরা দেশের এবং দেশের মানুষের উন্নয়নে কাজ করেছি, আগামীতেও করব। গতকাল বুধবার রংপুর জিলা স্কুল মাঠে আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক বিশাল জনসভায় বক্তৃতাকালে এসব কথা বলেন। সাড়ে ১৪ বছরের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ আমার সংসার। বাবা, ভাই ও বোনের স্নেহ আপনাদের কাছ থেকে পেয়েছি। এই বাংলাদেশের মানুষের জন্য, তাদের ভাগ্যের পরিবর্তনের জন্য আমি বাবার মতো জীবন দিতে প্রস্তুত।দেশের মানুষের ভাগ্যন্নোয়নে একমাত্র আওয়ামী লীগ সরকারই কাজ করেছে দাবি করে শেখ হাসিনা বলেন, নৌকা মার্কা ক্ষমতায় আসায় মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন হয়েছে, কৃষকের উন্নয়ন হয়েছে, খাদ্যে স্বয়ং সম্পূর্ণতা অর্জন হয়েছে, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছেছে। তিনি বলেন, আজকেও আমি খালি হাতে রংপুর আসিনি। আপনাদের জন্য উপহার নিয়ে এসেছি। ২৭টি উন্নয়নপ্রকল্প উদ্বোধন করেছি। যাতে প্রত্যেকটা উন্নয়ন তরান্বিত হয় তার ব্যবস্থা করেছি। অনেকে ক্ষমতায় ছিল, কিন্তু রংপুরের ভাগ্যন্নোয়নে কেবল নৌকা মার্কা কাজ করেছে। আজকে হতদরিদ্র বলতে কিছু নেই। আল্লাহর রহমতে থাকবেও না। দেশের মানুষের আর্থিক সচ্ছলতা এসে গেছে। এ দেশের কৃষক, শ্রমিক, মেহনতি মানুষের ভাগ্যের উন্নয়নে আওয়ামী লীগ কাজ করে যাচ্ছে।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমন উপলক্ষে রংপুর হয়ে উঠে রঙিন নগরী। শহরজুড়ে উৎসবের আবহ। জনসভায় জনতার ঢল নামে। জনসভার কেন্দ্রস্থল রংপুর জেলাস্কুল মাঠ কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে আশ-পাশের এলাকা ভরে যায়। জনসভার স্থল জেলা স্কুল মাঠে তিল ধারনের ঠাই ছিল না। দুপুর ১ টার মধ্যেই জনসভার কার্যক্রম শুরু হয়। এর আগেই মাঠ কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে যায়। সকাল থেকেই দলীয় নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা মিছিল নিয়ে নগরীর বিভিন্ন রাস্তা দিয়ে জনসভাস্থলে আসতে থাকে। দুপুরের আগেই মাঠ কানায় কানায় ভরে যায়। স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় নেতাদের বক্তব্য চলতে থাকে। উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর আগে রংপুরে এসেছিলেন ২০১৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর।

জনসভায় উপস্থিত জনতার কাছে ফের নৌকায় ভোট দেয়ার প্রতিশ্রুতি নিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের মানুষ আমার আপনজন। আপনাদের মাঝে আমি বাবা-মা, ভাই-বোনের আদর-স্নেহ ও ভালোবাসা পাই। আজকে দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় বেড়েছে। দারিদ্রের হার কমিয়ে এনেছি। মেয়েদের জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছি। জামানত ছাড়া দুই লাখ টাকা পর্যন্ত ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য আমরা সুযোগ করে দিয়েছি। আমাদের লক্ষ্য দেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়ন করা। এ অঞ্চলে আর কখনো যেন দুর্ভিক্ষ না থাকে, সে জন্য আমরা কাজ করেছি। আমরা হাইটেক পার্ক করেছি। স্কুলগুলোতে কম্পিউটার ল্যাব করেছি। তিনি আরো বলেন, দেশে কোনো মানুষ ভূমিহীন থাকবে না। প্রত্যেক ভূমিহীন মানুষকে দুই কাঠা জমি দিয়েছি। জামানত ছাড়া ঋণ নিয়ে ব্যবসা করার সুযোগ দিয়েছি। রংপুরের ৮ জেলা এখন ভূমিহীন-গৃহহীনমুক্ত। তারপরও আমরা খোঁজ নিচ্ছি। কেউ থাকলে তার ঘরের ব্যবস্থা করে দেব। এ সব জেলার কোথাও কোনো মানুষ ভূমিহীন থাকলে আমি বিনা পয়সায় ঘর দেব। বঙ্গবন্ধুর বাংলায় কোনো মানুষ ভূমিহীন থাকবে না এটাই আমাদের চাওয়া।প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটা গোষ্ঠী আছে যারা সবসময় এদেশের উন্নয়নকে পিছিয়ে দিতে চায়। জাতির পিতাকে খুন করার মাধ্যমে এটা শুরু করেছে। অনেক কষ্ট করে আমরা গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছি। মানুষ নির্বাচনে এখন শান্তিতে ভোট দেয়। এ জন্য স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স ও ভোটার আইডি কার্ড করে দিয়েছি। তিনি বলেন, আপনাদের এখানে সোনার জমি, ফসল ভালো হয়। ধান, গম, আমসহ বিভিন্ন ফসল উৎপাদন হয়। আমি মা-বোনসহ সবাইকে অনুরোধ করব এক ইঞ্চি জমি যেন খালি না থাকে। যার যা আছে তা কাজে লাগান। শাক-সবজি-ফসল ফলান। প্রতিটি জায়গায় গাছ লাগান। অন্তত ৩টি করে গাছ লাগান। আপনি নিজেও উপকৃত হবেন। আষাঢ়-শ্রাবণ মাসে আমরা গাছ লাগাই। এটা আওয়ামী লীগেরই কর্মসূচি। ফসল ফলাবেন, এ অনুরোধ কি আপনারা রাখবেন? সারা বিশ্বে ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে দ্রব্যমূল্যের দাম বেড়ে গেছে। পরিবহণ খরচ বেড়ে গেছে, ভোজ্য তেল পাওয়া যায় না। তাই মনে রাখবেন আমাদের উর্বর মাটি আছে। জাতির পিতা বলেছিলেন, আমার মাটি ও মানুষ আছে। এই মাটি-মানুষ নিয়েই দেশ গড়ে তুলব।শেখ হাসিনা বলেন,আমওয়ামী লীগের ক্ষমতায় থাকাকালে রংপুর কোনোদিন মঙ্গা হয়নি। কেউ না খেয়ে মরেনি। নৌকায় ভোট দিলে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন হয়। আমরা তা প্রমাণ করেছি। খালেদা জিয়া মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছে। আমরা ক্ষমতায় আসার পর এসবের পরিবর্তন করেছি। যুবকদের জন্য কর্মসংস্থান আমরা করতে পেরেছি। ট্রেনিং দিয়েছি, কাজের ব্যবস্থা করেছি। এই অবহেলিত রংপুরের উন্নয়ন আমরাই করেছি। রংপুরকে বিভাগ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছি, বিশ্ববিদ্যালয় করেছি।শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ কৃষকের বন্ধু। কৃষকের জন্য ১০ টাকায় ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার ব্যবস্থা করে দিয়েছি। সারের দাম কমিয়ে দিয়েছি। অথচ খালেদা জিয়া ক্ষমতায় থাকতে কৃষক সার চাইলে গুলি করে হত্যা করেছেন। বিএনপি কত মানুষ পুড়িয়ে মেরেছে। এরা মানুষের জাত না। এদেরকে দেশের মানুষ প্রত্যাখান করেছে। এরা আর কোনোদিন ক্ষমতায় আসতে পারবে না। ক্ষমতায় থাকলে তারা লুট-পাট করে। না থাকলেও ধ্বংসযজ্ঞ চালায়। তারা শুধু জ্বালাও-পোড়াও আর ধ্বংসই করতে পারে।শেখ হাসিনা বলেন, রংপুরের বিভিন্ন এলাকায় বিএনপি জ্বালাও-পোড়াও করেছে। মানুষের ঘর-বাড়ি, গাড়িতে আগুন দিয়েছে। রাস্তা-ঘাট কেটে দিয়েছে। বাস-ট্রাক পুড়িয়ে দিয়েছে। তারা দেশ ধ্বংস করে, আমরা সৃষ্টি করি। খালেদা ও তার কুপুত্র মানুষের কল্যাণ জানে না। এরা কি মানুষের জাত? বাইরে বসে ষড়যন্ত্র করছে। আজ যে মামলার রায় হয় এগুলো আমরা করিনি। এগুলো তাদেরই প্রেসিডেন্ট ইয়াজউদ্দিন ও ফখরুদ্দিনের সময় করা। তিনি বলেন, আমরা দেশের মানুষের সাক্ষরতার হার বাড়িয়েছি। তারা কমিয়ে দিয়েছে। করবেই না কেন, কারণ খালেদা জিয়া তো নিজেও এইট পাস। আমরা সব খাতকে বেসরকারি খাতে দিয়ে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছি।প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকের সমাবেশে যারা এসেছেন সবাইকে দেখছি না তবে সবাই আছেন আমার হৃদয়ে। বাবা-মা সব হারিয়ে একটা প্রতিজ্ঞা নিয়ে এসেছি দেশের মানুষের অন্ন-বস্ত্র-বাসস্থান জোগাব। ভাগ্য উন্নয়ন করব। আজ ডিজিটাল বাংলাদেশ করে দিয়েছি। ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ করব। বাংলাদেশকে দুর্ভিক্ষের দেশ বলে আর কেউ করুণা করে না। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশে বিদ্যুতের আর কোনো সমস্যা থাকবে না। সবার ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দিতে পেরেছি। কয়লার দাম ও গ্যাসের দাম বেড়ে যাওয়ায় বিদ্যুৎ নিয়ে কয়েকদিন কষ্ট হয়েছে। এরপর এখন ঠিক হয়ে গেছে। বিদ্যুতের আর কোনো সমস্যা থাকবে না।রংপুর মহানগর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ডা. দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে জনসভায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত আছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এছাড়া সাবেক প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মোতাহার হোসেন, নৌ-পরিবহণ মন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ, পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম, আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ এইচ এন আশিকুর রহমান, সাবেক সাংস্কৃতিক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন ও সুজিত রায় নন্দী প্রমূখ।২৭টি উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৭টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটারসহ আরো পাঁচটি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন। এতে ব্যয় হবে ২ হাজার কোটি টাকা। এসব প্রকল্প বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ এবং রংপুর সিটি কর্পোরেশনের তত্ত্বাবধানে বাস্তবায়িত হবে। যেসব প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে সেগুলো হলো: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটার, বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশন সচিবালয়ের রংপুর আঞ্চলিক কার্যালয়, রংপুর জেলার বিট্যাক সেন্টার, রংপুর মেডিকেল কলেজের মহিলা হোস্টেল এবং বিএমডিএ’র আঞ্চলিক অফিস। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় যেসব প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে সেসব হলো শেখ রাসেল মিডিয়া সেন্টার, শেখ রাসেল ইনডোর স্টেডিয়াম, শেখ রাসেল সুইমিং পুল, রংপুর পালিছড়া স্টেডিয়াম এবং বিভাগীয় মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্স। রংপুর সিটি কর্পোরেশনের অধীনের প্রকল্পগুলো হলোÑ রংপুর সিটি সেন্ট্রাল বাস টার্মিনাল, রংপুর সিটি অ্যাসফল্ট প্ল্যান্ট এবং স্টোর ইয়ার্ড। কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীন প্রকল্পগুলো হলোÑ নলয়া নদী পুনঃখনন (১৯.১৪ কিলোমিটার), আলাইকুমারী নদী পুনঃখনন (১৯.২৪ কিলোমিটার), নইমুলা বিল পুনঃখনন (১৪.৫৭ একর), চিথলী ফিল পুনঃখনন (১৯.৬৩ একর), ভারারদহ এবং পটুয়াকামরি বিল পুনঃখনন(২৮. ৮৯ একর) ।স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রকল্পগুলো হলোÑ পীরগাছা উপজেলা চৌধুরানী জিসি থেকে সাঠিবাড়ী আরএন্ডএইচ পর্যন্ত রাস্তার উন্নয়ন কাজ, পীরগাছা উপজেলা ভেন্ডাবাড়ী থেকে খালাশপীর জিসি পর্যন্ত রাস্তার সংস্কার কাজ, কাউনিয়া উপজেলার টেপামধুপুর জিসি থেকে পাওটানা জিসি পর্যন্ত সড়কের সংস্কার কাজ, মিঠাপুকুর উপজেলার গোপালগঞ্জ ঘাটে ঘাঘট নদীর ওপর ৯৬ মিটার সেতু নির্মাণ, গঙ্গাচড়া উপজেলার বুড়িরহাট জিসি-কাকিনা আরএন্ডএইচ সড়কের ৪০ মিটার সেতু নির্মাণ এবং পল্লীমারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বনাম কাউনিয়া উপজেলার আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণ কাজ।স্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের আওতাধীন প্রকল্পগুলো হলোÑ রংপুর মেডিকেল কলেজ বহুমুখী ভবন, রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলায় হেলেঞ্চা ১০ শয্যা বিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র, রংপুর বিভাগের বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয়, রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলায় মাথারগঞ্জ ১০ শয্যা বিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র্র। রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলায় ১৪ নং চতরা ১০ শয্যা বিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র, রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার পায়রাবন্দ ইউনিয়নের ১০ শয্যা বিশিষ্ট বেগম রোকেয়া আধুনিক হাসপাতাল এবং পীরগঞ্জ উপজেলায় খালাশপীর ১০ শয্যা বিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র।অন্যান্য প্রকল্পগুলো হলোÑ পীরগঞ্জ উপজেলায় ২,৫৪০ মিটার নদীর তীর সংরক্ষণ এবং রংপুর কারখানা ও সংস্থার পরিদর্শন অফিস ভবন। উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর মধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প। ১০ তলা বিশিষ্ট নভোথিয়েটারটি ৪১৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ১০ একর জমির ওপর নির্মিত হবে ।
রংপুর শহর থেকে প্রায় ছয় কিলোমিটার দূরে রংপুর উপশহরে নির্মিত হবে এই নভোথিয়েটার, যা এলাকার আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন নিশ্চিত করার পাশাপাশি কর্মসংস্থানও সৃষ্টি করবে।

এমন আরো সংবাদ

Back to top button