তিনি নিজে কেঁদে এবং অন্যকে কাদিয়ে বিদায় নিলেন সেতাবগঞ্জ সরকারী পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিশ্বনাথ রায়
যোদ্ধা ডেস্কঃ দিনাজপুরের বোচাগঞ্জ উপজেলার শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ সেতাবগঞ্জ সরকারি পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিশ্বনাথ রায় ও অফিস সহকারী মোঃ ছাবেদ আলী চাকুরী হতে অবসর গ্রহন করায় স্কুলের পক্ষ থেকে বিদায় সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠানে নিজে কাঁদলেন এবং অন্য কে কাঁদিয়ে বিদায় নিলেন প্রধান শিক্ষক।
৩ আগষ্ট বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় সেতাবগঞ্জ সরকারি পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ে বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দিনাজপুর জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ রফিকুল ইসলাম। এসময় আব্দুর রৌফ চৌধুরী ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান রমিজা রৌফ চৌধুরী, বোচাগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আফছার আলী, সহ-সভাপতি আব্দুস সবুর, জেলা পরিষদ সদস্য শাহ্ নওয়াজ, উপজেলা শিক্ষা অফিসার আহসান হাবীব, সাবেক অধ্যক্ষ মোঃ মোজাম্মেল হক, সেতাবগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি আব্দুস সাত্তার, প্রভাষক বিধান কুমার দত্ত, শিক্ষক মোঃ আমিনুল ইসলাম, বিজয় কুমার রায়, সুশেন চন্দ্র রায়, আফরোজা বুলবুল, মোঃ মোফাজ্জল হায়দার মিনু, আব্দুল মজিদ, স্কুলের সাবেক ছাত্রী ডাঃ অনেশ্বা, দিহান, স্কুলের ছাত্রী সৃষ্টি, রুসাফা আক্তার প্রমুখ। বিদায় অনুষ্ঠানে ৯১ ব্যাচের পক্ষ থেকে সাংবাদিক ফরিদ আহমেদ, প্রভাষক বিধান দত্ত, শিক্ষিকা ঝর্না রানী সিংহা এবং এমআই গ্রুপের পরিচালক মোঃ ইসাহক আলী প্রধান শিক্ষক কে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। অবসর প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বিশ্বনাথ রায় রায় বিদায়ী বক্তব্যে অশ্রু সিক্ত নয়নে তার দীর্ঘ কর্মময় জীবনের উপর আলোকপাত করে বলেন, তিনি প্রধান শিক্ষক থাকাকালীন সময়ে এই এলাকার সংসদ সদস্য নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর ঐকান্তিক প্রচেষ্ঠায় স্কুলটি জাতীয়করন, নতুন ২টি ভবন, সাইন্স ল্যাব স্থাপন, ডিজিটাল কম্পিউটার ল্যাব স্থাপন সহ ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। পাশাপাশি লেখাপড়ার মান উন্নয়নে তিনি আপ্রান চেষ্ঠা করেছেন। যার ফলে প্রতিবারই স্কুলটি এসএসসিতে ভাল ফলাফল করে আসছে। এজন্য তিনি স্কুলের শিক্ষকদের এই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে অনুরোধ করেন। তিনি তার ছাত্র-ছাত্রীদের আদর্শ মানুষ হওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়ে বলেন, তোমরাই আগামীর ভবিষ্যত। এই স্কুলের অসংখ্যা ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে যারা ভালভাবে লেখাপড়া শেষ করে এখন দেশে ও বিদেশী সুনামের সাথে চাকুরী করছেন। যাদের জন্য তিনি নিজেকে একজন গর্বিত শিক্ষক হিসেবে মনে করেন। তিনি বলেন, একমাত্র শিক্ষকরাই হলো মানুষ গড়ার কারিগর। উক্ত বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আব্দুর রৌফ চৌধুরী ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান রমিজা রৌফ চৌধুরী বিদায়ী প্রধান শিক্ষককে উত্তোরিয়, বই ও ক্রেষ্ট প্রদান করেন। এছাড়াও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ও স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের পক্ষ থেকে বিদায়ী প্রধান শিক্ষক ও অফিস সহকারীকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও উপহার সামগ্রী প্রদান করা হয়।