মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠা
যোদ্ধা ডেস্কঃ আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগের জন্ম হয়েছে বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য যা আমরা প্রমাণ করেছি। অন্য দলগুলো জনগণের ভাগ্য পরিবর্তন করেনি। তারা নিজেদের অর্থ সম্পদ বানানো, দুর্নীতি, সন্ত্রাস এগুলোই ছিল তাদের কাজ। গণতন্ত্র আছে বলেই দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।
গতকাল রোববার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব বলেন। শেখ হাসিনা বলেন, আজকে ২০২৪ সালে দাঁড়িয়ে বলতে পারি ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছি, দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করেছি। বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। বিশ্বে মাথা উঁচু করে চলার সুযোগ পেয়েছে। ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্টের হত্যাকা-ের বিষয়টি উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছে কিন্তু তার আদর্শকে হত্যা করতে পারেনি। আমি কাছে থেকে দেখেছি তিনি কিভাবে বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করতে চেয়েছিলেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ২০২৬ সাল থেকে আমাদের যাত্রা শুরু হবে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে।
আমরা তার প্রস্তুতি নিয়েছি। আমরা নির্বাচনী ইশতেহারে বলেছি- দিন বদলের সনদ। তিনি বলেন, প্রত্যেক নেতা-কর্মীকে বলবো, দলের ও নেতাকর্মীদের ওপর বার বার আঘাত এসেছে। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা অনেক কষ্ট সহ্য করেছে। তাদের পরিবারগুলো কষ্ট করেছে। কিন্তু সংগঠন ধরে রেখেছে। কাজেই যেমন সংগঠন করতে হবে তেমনি জনগণের আস্থা ও বিশ^াস অর্জন করতে হবে, সেটাই আমাদের মূল শক্তি। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সভায় বক্তৃতা করেন। দলের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ সভা সঞ্চালনা করেন। এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন এবং পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে ৭৫ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর অনুষ্ঠানমালা উদ্বোধন করেন। এ সময় জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশিত হয়। পরে আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক উপকমিটির উদ্যোগে এবং দেশ বরেণ্য বিভিন্ন শিল্পী ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির শিল্পীদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে পেরেছি বলেই বার বার জনগণ আমাদের ভোট দিয়েছে, আমরা বার বার ক্ষমতায় এসেছি। ২০০৯ সাল থেকে ২০২৪ পর্যন্ত এই দীর্ঘ সময় বাংলাদেশের ইতিহাসে দেশে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রয়েছে। আর গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে বলেই আর্থসামাজিকভাবে বাংলাদেশ আজকে এগিয়ে যাচ্ছে, বাংলাদেশের উন্নতি হচ্ছে, বিশ্ব দরবারে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। ফলে আজকে বিশ্বে মাথা উঁচু করে চলার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এটাকে ধরে রেখেই আমাদের সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। তিনি সকল গণআন্দোলনে আত্মত্যাগকারী এই সংগঠনের সকল নেতা-কর্মীদের প্রতি তাঁর শ্রদ্ধা জানান এবং বলেন সেই মহান আত্মত্যাগের মধ্যদিয়েই আজকে দেশকে আমরা এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি।
শেখ হাসিনা বলেন, ৭৫ সালে জাতির পিতাকে হত্যার পর সে সময় প্রবাসে থাকায় তাঁকে এবং শেখ রেহানাকে অবৈধভাবে সংবিধান লংঘন করে ক্ষমতা দলকারীরা দেশে ফিরতে দেয়নি। তাঁরা প্রবাসে রিফিউজি হিসেবে জীবন কাটাতে বাধ্য হন এবং ’৮১ সালে আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে তাঁকে সভাপতি নির্বাচিত করার পর একরকম জোর করে তাঁর দেশে ফেরা। তিনি এমন একটা সময় দেশে ফিরেছিলেন যখন যুদ্ধাপরাধী এবং জাতির পিতার খুনিরা ক্ষমতায়। জিয়া ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স জারি করে জাতির পিতা হত্যার বিচারের পথ রুদ্ধ করে খুনিদের বিদেশে বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করেন। শেখ হাসিনা বলেন, আমি এসেছিলাম একটা চিন্তা নিয়ে যে এদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করতেই হবে। মানুষকে সুখী সমৃদ্ধ জীবন উপহার দিতে হবে। ২০২০ সালের জাতির পিতা জন্মশতবার্ষিকী এবং ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনকালেই বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি লাভ করে যা ২০২৬ সাল থেকে কার্যকর হওয়া শুরু হবে। সেজন্য যথাযথ প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ২০০৮ সালের নির্বাচনে তাঁর দল যে দিন বদলের সনদ ঘোষণা করেছিল তার সফল বাস্তবায়নে আজ প্রকৃতই দিন বদল হয়েছে। এখন আমাদের লক্ষ্য ২০৪১ সালের বাংলাদেশ হবে স্মার্ট বাংলাদেশ। আর আগামী প্রজন্মকে সুন্দর জীবন উপহার দেওয়ার লক্ষ্যে ‘ডেল্টা প্ল্যান-২১০০’ প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। আওয়ামী লীগ এদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করেছে। এদেশের মানুষকে ক্ষুধা ও দারিদ্র মুক্ত উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ, স্মার্ট বাংলাদেশ, স্মার্ট সোনার বাংলা ইনশাল্লাহ আমরা গড়ে তুলবো। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সবসময় সুখে-দুঃখে জনগণের পাশে থেকেছে। আজকে বাংলাদেশ ও বাঙালির যতটুকু অর্জন সে অর্জনটুকু আওয়ামী লীগের দ্বারাই। কিন্তু বার বার এই দলের ওপর আঘাত এসেছে। বার বার এই দলকে খন্ড বিখন্ড করা হয়েছে। বার বার এই দলকে নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টা করা হয়েছে। সেই ’৫৮ সালে আইয়ুব খানের মার্শাল ল’ আমল থেকে শুরু করে বার বার এই আঘাত এসেছে। কিন্তু আওয়ামী লীগ গণমানুষের সংগঠন। জনগণের অধিকার আদায়ের সংগঠন। জনগণের আর্থসামাজিক উন্নতি করার সংগঠন। কাজেই বার বার আঘাত এসেও এই সংগঠনের কোন ক্ষতি করতে পারে নাই। গ্রিক পুরাণের ফিনিক্স পাখির উদাহারণ টেনে তিনি বলেন, ফিনিক্স পাখি পুড়িয়ে ফেলার পরও ছাই ভস্ম থেকে যেমন জেগে ওঠে, আওয়ামী লীগও সেভাবেই জেগে উঠেছে। খুব বেশিদিনের কথা নয় ২০০৭ সালেও চেষ্টা করা হয়েছিল আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করে দিয়ে নতুন কিংস পার্র্টি গড়ে তোলার, সেটা সফল করতে পারেনি। কারণ আওয়ামী লীগের মূল শক্তি হচ্ছে বাংলাদেশের সাধারণ জনগণ ও তৃণমূলের মানুষ, আওয়ামী লীগের অগনিত নেতা-কর্মী ও মুজিব আদর্শের সৈনিক। যারা কখনো পরাভব মানে না। মাথা নত করে না। হয়তো কখনো কখনো কোনো কোনো নেতা ভুল করেছেন। নিজেকে বড় নেতা মনে করে দল ছেড়ে অন্য দল করেছেন। এদের কেউ কেউ ভূল বুঝতে পেরে ফেরত আসলে তাদের আবার দলে নেওয়া হয়েছে। অবার কেউ কেউ এখনও বিভিন্নভাবে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন, ধ্বংসসহ নানা জল্পনা-কল্পনা করে যাচ্ছে। কিন্তু আওয়ামী লীগের জন্মই হয়েছে বাংলার মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য, যা আমরা প্রমাণ করেছি।
অনুষ্ঠানে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় নেতা জিএম কাদের, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ-ইনু) সভাপতি হাসানুল হক ইনুসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশে বিদেশি মিশনে কর্মরত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরাও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
চট্টগ্রাম ব্যুরো জানায়, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেছেন, আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠার পর গৌরবময় অভিযাত্রার ৭৫ বছরে চরাই-উৎড়াই অতিক্রম করে এখন একটি বিশেষ মহীরূহে পরিণত হয়েছে। উপমহাদেশের ঐতিহ্যবাহী প্রাচীনতম এই সংগঠন আজ সারা বিশ্বে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। তিনি গতকাল বিকেলে লালদীঘি ময়দানে আওয়ামী লীগের প্লাটিনাম জয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে আনন্দ র্যালি পূর্ব অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন। মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, আজ থেকে ৭৫ বছর আগে এক কঠিন ক্রান্তিকালে আওয়ামী লীগের জন্ম হয়েছিল ঐতিহাসিক প্রয়োজনে। আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠার পর থেকে বাঙালির যা কিছু অর্জন ও সাফল্য তা আওয়ামী লীগের মুকুটে পালক হিসেবে গুচ্ছবদ্ধ হয়ে আছে। সাফল্যের এই পালকগুলো অগণিত নেতাকর্মীর ত্যাগ, পরিশ্রম ও নিষ্ঠা এবং দীর্ঘ লড়াই-সংগ্রামের ফসল হিসেবে অর্জিত হয়েছে। মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ও সিটি মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, আওয়ামী লীগ একটি বহুমাত্রিক গণসংগঠন এই সংগঠনের ঐক্যের ভিত্তি হলো সকল স্তরের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ শক্তি। বিভেদ ও বিভাজন পরিহার করে ঐক্যের শক্তিকে বলিয়ান করতে হবে। সাংগঠনিক সম্পাদক চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনি এবং প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুকের যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আনন্দ র্যালি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাড. ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ, শফিক আদনান, চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনি, অ্যাড. শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, চন্দন ধন, মশিউর রহমান চৌধুরী।
বগুড়া ব্যুরো জানায়, বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে নানা আয়োজনে পালিত হয়েছে দিবসটি। এতে সভাপতিত্ব করে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বগুড়া-৫ আসনের এমপি মজিবর রহমান মজনু।
স্টাফ রিপোর্টার, মাগুরা থেকে জানান, মাগুরায় দিবসটি পালন উপলক্ষে মাগুরা জেলা আওয়ামী লীগ সকালে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্থবক অর্পণ, আলোচনা সভা, চিত্রাংকন প্রতিযোগীতা, বৃক্ষরোপণ ও রক্তদান কর্মসূচি পালন করে।
নওগাঁ জেলা সংবাদদাতা জানান, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকারের হাত ধরে উন্নয়ন-অর্জনে বাংলাদেশ আজ অনন্য উচ্চতায় বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী বীরমুক্তিযোদ্ধা সাধন চন্দ্র মজুমদার। দিবসটি উদযাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে এই মন্তব্য করেন খাদ্যমন্ত্রী। এদিকে আত্রাইয়ে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে উদযাপন করা হয়।
মানিকগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা জানান, জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বর্ণাঢ্য র্যালি ও অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দিনটি পালিত হয়েছে। জেলা আ. লীগের সভাপতি, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা গোলাম মহীউদ্দীন।
ঝালকাঠি জেলা সংবাদদাতা জানান, ঝালকাঠিতে বঙ্গবন্ধু প্রতিকৃতিকে পুষ্পমাল্য অর্পণ, বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ প্রচার, র্যাল আলোচনা সভাসহ বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যদিয়ে উদযাপিত হয়েছে। এ উপলক্ষে রোববার সকালে দলীয় কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধু প্রতিকৃতিকে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন নেতাকর্মী।
নারায়ণগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা জানান, নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে এ উপলক্ষে সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও বর্ণাঢ্যর্যালি আয়োজন করা হয়। গতকাল দুপুরে উপজেলার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মোগরাপাড়া এলাকায় আওয়ামী লীগের উপজেলা কার্যালয়ের সামনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
শেরপুর জেলা সংবাদদাতা জানান, কেক কাটা, আলোচনা ও আতশবাজির মধ্য দিয়ে শেরপুরে কর্মসূচি শুরু হয়। সকালে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন এবং বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। মধ্যরাতে আতশবাজিতে আলোকোজ্জ্বল হয়ে যায় শেরপুর জেলা শহর।
টাঙ্গাইল জেলা সংবাদদাতা জানান, টাঙ্গাইলে নানা কর্মসূচির মধ্যে ছিল- জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ অর্পণ, গাছের চারা রোপণ, আনন্দ শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা, দোয়া ও মিলাদ মাহফিল ইত্যাদি।
বড়াইগ্রাম (নাটোর) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, নাটোরের বড়াইগ্রামে সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতারা এক মঞ্চে ঐক্যবদ্ধভাবে দলীয় কর্মসূচি পালন করলেন।
চান্দিনা (কুমিল্লা) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, কুমিল্লার চান্দিনায় বেলা ১২টায় চান্দিনা থানা রোডের হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী মোড় বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল থেকে একটি বর্ণাঢ্যর্যালি বের হয়ে চান্দিনার প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
ইন্দুরকানী (পিরোজপুর) সংবাদদাতা জানান, পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে পৃথক পৃথব ভাবে বাংলাদেশ পালিত হয়েছে দিনটি। উপজেলা আ. লীগের সভাপতি অ্যাড. এম মতিউর রহমানের নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করা হয়।
ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) সংবাদদাতা জানান, ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে দিনব্যাপী উপজেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে দিবসটি পালিত হয়। মুক্তিযোদ্ধা চত্বর থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক পদক্ষিণ শেষে দলীয় কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
কলাপাড়া (পটুয়াখালী) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলায় উদযাপিত হয়েছে দিবসটি। সকাল সাতটায় কলাপাড়া উপজেলা, মহিপুর আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় সঙ্গীতের সঙ্গে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা।
ব্রাহ্মনপাড়া (কুমিল্লা) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে কাটা ও আলোচনা সভার মধ্যদিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে উদযাপন করা হয় দিসবটি।
গাবতলী (বগুড়া) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, বগুড়ার গাবতলীতে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে উপজেলা চেয়ারম্যান কৃষিবিদ অরুন কান্তি রায় সিটনের নেতৃত্বে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়।
কোটালীপাড়া (গোপালগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় বর্নাঢ্য আয়োজনে প্লাটিনাম জয়ন্তী উদযাপিত হয়েছে। এ উপলক্ষে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের আয়োজনে সকাল ৭ টায় আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, উপজেলা পরিষদ চত্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করে একটি বর্নাঢ্য আনন্দ র্যালি বের হয়।
মনোহরগঞ্জ (কুমিল্লা) সংবাদদাতা জানান, কেন্দ্রীয় ঘোষিত কর্মসূচির আলোকে জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে লাকসাম ও মনোহরগঞ্জ উপজেলায় পৃথকভাবে পালন করেছে দলটি। দিবসটি পালনে কর্মসূচির মধ্যে ছিল, জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, জাতীয় ও দলীয় সংগীত পরিবেশন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণসহ নানা আয়োজন।
মোরেলগঞ্জ (বাগেরহাট) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বর্ণাঢ্য র্যালী, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাগেরহাট -৪ আসনের সংসদ সদস্য এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ।
মুরাদনগর উপজেলা (কুমিল্লা) সংবাদদাতা জানান, আলোচনা সভা করে উপজেলা আওয়ামী লীগ। সকাল সাড়ে ১০ টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানিয়ে এক বর্ণাঢ্যর্যালী উপজেলা পরিষদ মাঠ থেকে বের হয়।
নাচোল (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে উদযাপন করা হয় দিবটি। নাচোল বাজার আওয়ামী লীগ অফিসের সামনে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিনটিকে স্মরণ করে উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগ।