বেনজীর এখন অস্ট্রেলিয়ায়
যোদ্ধা ডেস্কঃ দুনীর্তিতে অভিযুক্ত সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) কে নিয়ে দৈনিক কালের কণ্ঠের প্রধান শিরোনাম: ‘বেনজীর এখন অস্ট্রেলিয়ায়’। খবরটির বিস্তারিত অংশে বলা হয়েছে যে, দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার এড়াতে বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে যাওয়া সাবেক আইজিপি মি. আহমেদ সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, দুবাই, পর্তুগালসহ বিভিন্ন দেশ ঘুরে এখন অস্ট্রেলিয়ায় থিতু হয়েছেন। -বিবিসি বাংলা গত আটই সেপ্টেম্বর সিডনিতে অনুষ্ঠিত একটি ঘরোয়া মিটিংয়ে দেখা গেছে তাকে। সেখানকার একটি ছবি কালের কণ্ঠের হাতে এসেছে। খবরে আরো বলা হয়েছে যে, অস্ট্রেলিয়ায় অবস্থানরত বাংলাদেশিরা মি. আহমেদের অবস্থানের বিষয়টি লিখিতভাবে সেদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছেন। এদিকে, দুদকের অনুসন্ধান টিম সাবেক এই আইজিপি এবং তার পরিবারের সদস্যদের নামে মোট ৪৩ কোটি ৪৬ লাখ টাকা মূল্যের অবৈধ সম্পদ অর্জনের তথ্য-প্রমাণ পেয়েছে। এর মধ্যে বেনজীর আহমেদের নামে মোট ৯ কোটি ২৫ লাখ টাকা মূল্যের অবৈধ সম্পদের তথ্য-প্রমাণ পাওয়া গেছে। এছাড়া তার স্ত্রী জীশান মীর্জার নামে মোট ২১ কেটি ৩৪ লাখ ৫০ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদের তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করেছে দুদুক। এর বাইরে, আহমেদের বড় মেয়ে ফারহীন রিশতা বিনতে বেনজীরের নামে আট কোটি ১০ লাখ ৮৯ হাজার টাকার এবং মেজো মেয়ে তাহসীন রাইসা বিনতে বেনজীরের নামে চার কোটি ৭৫ লাখ ৫৯ হাজার টাকা মূল্যের অবৈধ সম্পদের তথ্য-প্রমাণ পাওয়া গেছে। আদালতের নির্দেশে সবার সম্পদ জব্দ করা হয়েছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
দৈনিক আজকের পত্রিকার প্রধান শিরোনাম করা হয়েছে: ‘ডিসি পদ নিয়ে মন্ত্রণালয়ে নজিরবিহীন হট্টগোল’। খবরটিতে বলা হয়েছে, গত দুই দিনে দেশের অন্তত ৫৯ জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগ দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এ নিয়ে মঙ্গলবার নজিরবিহীন হট্টগোল হয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে। অর্থ লেনদেনের মাধ্যমে শেখ হাসিনা সরকারের ‘সুবিধাভোগী কর্মকর্তাদের’ ডিসি করা হয়েছে অভিযোগ তুলে নিয়োগের দু’টি প্রজ্ঞাপন বাতিলের দাবি জানিয়েছেন ক্ষুব্ধ কর্মকর্তারা।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে যে, প্রজ্ঞাপন বাতিলের দাবিতে মঙ্গলবার দিনভর তারা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ভেতরে বিক্ষোভ করেন। এক পর্যায়ে মন্ত্রণালয়ের দু’জন যুগ্মসচিবকে কক্ষে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। বেলা তিনটায় বঞ্চিত কর্মকর্তারা দুই যুগ্ম সচিবের কক্ষ অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরে বঞ্চিতরা এক জোট হয়ে দুই যুগ্ম সচিবকে সঙ্গে নিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কক্ষে যাওয়ার উদ্যোগ নেন। খবরে আরও বলা হয়েছে, কর্মকর্তাদের রোষ থেকে নিজেকে বাঁচাতে যুগ্ম সচিব আলী আযম পাশের রুমের টয়লেটে প্রবেশ করে দরজা বন্ধ করে দেন। প্রায় ২ ঘণ্টা পর সিনিয়র কর্মকর্তারা তাকে বের করেন।
পরে দুই কর্মকর্তাকে সঙ্গে নিয়ে বিকেল ৫টার দিকে প্রজ্ঞাপন বাতিলের দাবি নিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও জনপ্রশাসন সচিবের সঙ্গে বৈঠকে বসেন বঞ্চিতরা। সেখানে প্রজ্ঞাপন বাতিলের আশ্বাস পাওয়ার পর শান্ত হন বিক্ষুব্ধরা।
বিবিসি বাংলার খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল অনুসরণ করুন।
একই বিষয়ে প্রধান শিরোনাম করেছে দৈনিক প্রথম আলো। ‘শৃঙ্খলা ফেরেনি, পদোন্নতি পদায়ন নিয়ে দৌড়ঝাঁপ’ শীর্ষক খবরটিতে বলা হয়েছে, অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় বসার এক মাস পরেও দেশের জনপ্রশাসনে শৃঙ্খলা ফেরেনি। কর্মকর্তাদের অনেকে এখন পদোন্নতি নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পেতে কেউ কেউ তদবিরও করছেন। ফলে প্রায় প্রতিদিনই সচিবালয়ের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সামনে কর্মকর্তাদের ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
পদোন্নতিকে ঘিরে মঙ্গলবার মন্ত্রণালয়টিতে যে হট্টগোল হয়েছে, সেটিও উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনটিতে। পরে প্রজ্ঞাপন বাতিলের আশ্বাস পেয়ে হট্টগোল করা কর্মকর্তারা ফিরে গেলেও মাঠ প্রশাসনে এখনও এক ধরনের অস্থিরতা বিরাজ করছে।
এ অবস্থার মধ্যেই আবার পেট্রোবাংলাসহ অনেক সরকারি প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন দাবিতে কর্মকর্তা-কর্মচারিরা বিক্ষোভ করছেন। স্বাধীনতার পর গত ৫৩ বছরে দেশের প্রশাসনের ওপর এত চাপ তৈরি হয়নি বলেও খবরে উল্লেখ করা হয়েছে।
আর এমন পরিস্থিতির জন্য দায়ী করা হয়েছে, আওয়ামী লীগের গত দেড় দশকের শাসনামলে প্রশাসনে ব্যাপক দলীয়করণ ও মেধা উপেক্ষা করে রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়োগের ঘটনাকে।
দৈনিক সমকাল পত্রিকার প্রধান শিরোনাম: ‘বিএনপি হতাশ হলেও চাপে রাখতে থাকবে রাজপথে’। বিস্তারিত খবরের বলা হয়েছে, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের উদ্ভূত পরিস্থিতিতে যেন উভয় সংকটে পড়েছে বিএনপি। টানা দেড় দশক ক্ষমতার বাইরে থাকার পর ‘সুদিন ফেরার পথে’ও নতুন নতুন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে দলটি। গত একমাসে অন্তর্বর্তী সরকারের নেওয়া বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিয়ে দলের শীর্ষ নেতাদের অনেকের মধ্যে অসন্তুষ্টি রয়েছে।
খবরে আরও বলা হয়েছে যে, বিষয়গুলো নিয়ে গত সোমবার দলটির সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরামের বৈঠক হয়েছে। সেখানে নেতারা তাদের অভিমত তুলে ধরেছেন। অনেকে হতাশাও প্রকাশ করেছেন। তবে হতাশ হওয়ার পরেও সরকারকে চাপে রাখতে আপাতত রাজপথে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। সেই ধারাবাহিকতায় আগামী ১৫ই সেপ্টেম্বর ঢাকায় সমাবেশ করার ঘোষণাও দেওয়া হয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
বিদ্যুৎ বিভ্রাট নিয়ে ইংরেজি দৈনিক নিউ এজের প্রধান শিরোনাম: ‘Power cut for 19hrs in villages, 5hrs in cities’. অর্থ্যাৎ গ্রামে ১৯ ঘণ্টা ও শহরাঞ্চলে পাঁচ ঘণ্টা লোডশেডিং হচ্ছে। খবরটির ভেতরের অংশে বলা হয়েছে যে, বিদ্যুৎঘাটতির কারণে তীব্র গরমে দেশের মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গত কিছুদিন ধরে গ্রামাঞ্চলে প্রায় ১৯ ঘণ্টাই বিদ্যুৎ থাকছে না। শহরাঞ্চলে বিদ্যুৎ বিভ্রাট কিছুটা কম হলেও সেটি পাঁচ ঘণ্টায় পৌঁছেছে। ফলে তীব্র গরমের মধ্যে সাধারণ মানুষের জীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।
প্রতিবেদনটিতে আরও বলা হয়েছে যে, বিদ্যুত আমদানির বকেয়া বিল পরিশোধের চাপের সঙ্গে জ্বালানি সংকটে অনেক উৎপাদন কেন্দ্র বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দেশে বিদ্যুতের বড় ধরনের ঘাটতি দেখা দিয়েছে, যা বেশ বেকায়দায় ফেলেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে। বকেয়া পরিশোধ না করায় বাংলাদেশের অন্যতম বড় বিদ্যুৎ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ভারতের আদানি গ্রুপ তাদের উৎপাদন কমিয়ে দিয়েছে। অন্যদিকে, হঠাৎ গরম বেড়ে যাওয়ায় বিদ্যুতের চাহিদা আগের চেয়ে বেড়ে গেছে। সব মিলিয়ে সংকট ক্রমেই তীব্রতর হচ্ছে। তবে সরকার জানিয়েছে যে, তারা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা চালাচ্ছে।
একই বিষয়ে প্রধান শিরোনাম করেছে আরেকটি ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টার। সহসাই দেশের বিদ্যুৎ পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে না বলে খবরটিতে বলা হয়েছে। কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়া কয়েদিদের বিষয়ে পত্রিকাটির প্রথম পাতার আরেকটি খবরের শিরোনাম: ‘Prison Breaks: 928 inmates still at large’. অর্থ্যাৎ কারাগার ভেঙে পালিয়ে যাওয়া ৯২৮ কয়েদি এখনও কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। খবরটির বিস্তারিত অংশে বলা হয়েছে যে, সাম্প্রতিক ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারসহ বিভিন্ন জেলখানা থেকে প্রায় ২২৪১ জন বন্দী পালানোর ঘটনা ঘটেছিল।
এর মধ্যে এখন পর্যন্ত ১৩১৩ জন পরে আত্মসমর্পণ করেছে বা গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি ৯২৮ জন কয়েদিদের অবস্থানের বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা পুরোপুরি অন্ধকারে রয়েছেন। কয়েদিদের অনেকে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে চলে গেছে বলে জানা যাচ্ছে। তারপরও পালিয়ে যাওয়া কয়েদিদের গ্রেফতারে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না বলে খবরে উল্লেখ করা হয়েছে।
দৈনিক নয়া দিগন্তের প্রধান শিরোনাম: ‘ভারতের প্রয়োজনে বিদ্যুৎ করিডোর বাংলাদেশের ঋণে’। খবরের বিস্তারিত অংশে বলা হয়েছে, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্য থেকে বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে ভারতের অন্য অংশে বিদ্যুৎ নিতে ৭৬৫ কেভি বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন নির্মাণ করতে চায় নয়াদিল্লি। আর এই সঞ্চালন লাইন নির্মাণে কারিগরি এ আর্থিক বিবেচনায় বাংলাদেশের সঞ্চালন প্রতিষ্ঠান পাওয়ার গ্রিডের কোনো প্রয়োজন না হলেও ভারতের স্বার্থ রক্ষায় একতরফাভাবে পাওয়ার গ্রিডের মাধ্যমে কাজ করার সিদ্ধান্ত দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে যে, শেখ হাসিনা সরকারের শেষ সময়ে ১৮ থেকে ২১ জুলাই ভারতে অনুষ্ঠিত এ-সংক্রান্ত যৌথ স্টিয়ারিং কমিটির সভায় এককভাবে সম্মতি দিয়ে এসেছেন খোদ বিদ্যুৎ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সৈয়দ মাসুম আহমেদ চৌধুরী। ভারতের প্রয়োজনে বাংলাদেশ অংশে সঞ্চালন লাইন স্থাপনে বাংলাদেশের ওপর ছয় হাজার থেকে সাত হাজার কোটি টাকার ঋণের বোঝা চাপবে বলে খবরে উল্লেখ করা হয়েছে।
‘ঋণে শেয়ারে সালমানের ৫৬০০০ কোটি’- দৈনিক দেশ রূপান্তরের প্রধান শিরোনাম এটি। খবরটিতে বলা হয়েছে যে, দেশের ব্যাংক ও পুঁজিবাজার খাতে বেক্সিমকো গ্রুপের চেয়ারম্যান এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প খাতের উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের দুর্নীতির তথ্য ক্রমেই বেরিয়ে আসছে। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে দুই খাতে ৫৬ হাজার কোটি টাকা লুটপাটের অভিযোগ জমা পড়েছে। খবরে আরও বলা হয়েছে যে, মি. রহমান ঋণের নামে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ৩৬ হাজার কোটি টাকা নিয়েছেন বলে জানতে পেরেছে দুদক। তার সিন্ডিকেটের কারণে ধ্বংস হয়েছে পুঁজিবাজার। সেখান থেকেও তার পকেটে গেছে ২০ হাজার কোটি টাকা।
মি. রহমানের নানান অনিয়ম, দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দুদকের উপপরিচালক জাহাঙ্গীর আলমকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি টিম গঠন করা হয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার প্রথমপাতার একটি শিরোনাম: ‘তিতাসের হারুন: ‘৫০০ কোটি টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ’। খবরটিতে বলা হচ্ছে, ঘুষ বাণিজ্য চালানোর অভিযোগ উঠেছে তিতাস গ্যাস কোম্পানির বিদায়ী ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হারুনুর রশীদ মোল্লাহ’র বিরুদ্ধে। তিনি নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে গত তিন বছরে ১৫০টি প্রতিষ্ঠানকে গ্যাসের নতুন সংযোগ ও লোড বৃদ্ধি করে অন্তত ৫৫০ কোটি টাকা ঘুষ নিয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে।
খবরে আরো বলা হয়েছে যে, গত সোমবার তিতাসের দুর্নীতিবাজ এমডি’র চুক্তি বাতিলের পর কোম্পানিটিতে দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা এখন চরম শঙ্কায় আছেন। তাদের একটি পক্ষের উস্কানিতে মঙ্গলবার পেট্রোবাংলায় বিক্ষোভ, হামলা ও ভাঙচুর করে কোম্পানির একদল কর্মকর্তা-কর্মচারী। তিতাসের কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে নতুন এমডি নিয়োগ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা। অথচ পেট্রোবাংলার সিনিয়রিটির তালিকার শীর্ষ অর্ধশত কর্মকর্তার মধ্যেও তিতাস গ্যাসের কেউ নেই বলে খবরে উল্লেখ করা হয়েছে।