দেশ

করোনায় আরো ৩ জনের মৃত্যু

যোদ্ধা ডেস্কঃ দেশে আবারও ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে মহামারি করোনাভাইরাস। গত ২৪ ঘণ্টায় এই ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ে ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছে ১৯ জনের শরীরে। গতকাল সোমবার স্বাস্থ্য অধিদফতরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, নতুন করে করোনা আক্রান্ত ১৯ জনসহ দেশে এখন পর্যন্ত মোট রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৫১ হাজার ৯৯৭ জনে। নতুন করে তিনজন মারা যাওয়ায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৯ হাজার ৫১৮ জনে।
গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া তিনজনের মধ্যে একজন পুরুষ, দুইজন নারী। এই তিনজনই ষাটোর্ধ্ব ছিলেন বলে জানিয়েছে অধিদফতর। চলতি বছর এখন পর্যন্ত ভাইরাসটিতে আটজন পুরুষ এবং ১১ জন নারীর মৃত্যু হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, দেশে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে ২৯ হাজার ৫১৮ জন মারা গেছেন। তাদের মধ্যে চলতি বছর মারা গেছেন ১৯ জন। এখন পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছেন ২০ লাখ ৫১ হাজার ৯৯৭ জন। ২০২৫ সালে শনাক্ত হয়েছেন ৪৫২ জন। মহামারির শুরু থেকে এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ০৫ শতাংশ। আর গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ৪ দশমিক ৬৮ শতাংশ।
২০২০ সালের মার্চে দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঘটে। আস্তে আস্তে তা দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। প্রায় দুই বছর শনাক্ত ও মৃত্যুর মিছিল দেখে দেশবাসী। ২০২২ সালের শেষে এসে করোনার প্রকোপ আস্তে আস্তে কমে যায়। মাঝে প্রায় তিন বছর করোনা নিয়ন্ত্রণে থাকার পর গত কিছুদিন ধরে এর প্রকোপ আবার বাড়ছে। ভাইরাসটির নতুন ভেরিয়েন্ট অনেক সংক্রমণপ্রবণ। ফলে এটি নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
চিকিৎসক এবং জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনার নতুন একটি ধরন সংক্রমণ বাড়াচ্ছে। নতুন এই ধরনটির সংক্রামিত করার ক্ষমতা অনেক বেশি হলেও রোগেও তীব্রতা কম। তবে অসাবধানতা এবং অচেতনতায় ধরনটি যে কোনো সময় শক্তিশালীও হয়ে উঠতে পারে। রাজধানীসহ অনেক জেলা শহরেও পাওয়া যাচ্ছে রোগী। প্রতিদিনই বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। মারাও যাচ্ছেন অনেকে। কিন্তু আগের মতো এটি নিয়ন্ত্রণে নেই চোখে পড়ার মতো কোনো উদ্যোগ। রাজধানীতেও কেউ মানছেন না স্বাস্থ্যবিধি। জেলা শহরে তো এর বালাই নেই। তাই আমাদের সবাইকেই যথেষ্ট সাবধান এবং সচেতন থাকতে হবে। দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে করোনা প্রতিরোধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ৫টি নির্দেশনা কঠোরভাবে প্রতিপালনের জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আজাদ খান।
হেলথ অ্যান্ড হোপ স্পেশালাইজড হাসপাতালের পরিচালক ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. লেলিন চৌধুরী বলেন, করোনা আবার বাড়তে শুরু করেছে। ডেঙ্গু, চিকনগুনিয়া, ভাইরাসজনিত জ্বর, শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণজনিত জ্বর, পানিবাহিত সংক্রমণজনিত জ্বর (যেমন টাইফয়েড) ইত্যাদি চলমান রয়েছে। এগুলোর সাথে করোনা যুক্ত হওয়াতে ভোগান্তি ও জীবনহানির সম্ভাবনা বেড়ে গেল। পাশের দেশ ভারতে করোনা সংক্রমণ দ্রুত বাড়ছে। করোনা ওমিক্রন ধরনের কয়েকটি উপধরন দ্বারা এবার সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। এই উপধরনগুলোর ছড়িয়ে পড়া বা মানুষকে আক্রান্ত করার ক্ষমতা বেশি।

এমন আরো সংবাদ

Back to top button