যথাসময়ে নির্বাচন প্রস্তুতি নিন
যোদ্ধা ডেস্কঃ নিজেদের মধ্যে বিরোধ ভুলে ঐক্যবদ্ধ থেকে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে দলের তৃণমূল নেতাদের নির্দেশনা দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই সঙ্গে আগামী নির্বাচনে দল যাকে মনোনয়ন দেবেন তার পক্ষে কাজ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। জনগণের কাছে গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে হওয়া ‘উন্নয়ন চিত্র’ তুলে ধরার পাশাপাশি আওয়ামী লীগকে সাংগঠনিক ভাবে আরো শক্তিশালী করারও আহ্বান জানান তিনি। সভায় তৃণমূল নেতারা নিজ নিজ এলাকার সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে অনিয়ম, স্বজনপ্রীতিঅভিযোগ তুলে ধরেন। সে সব অভিযোগ শুনে সে বিষয়ে যথাযথ সময়ে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা। নিজেদের মধ্যে বিরোধ ভুলে ঐক্যবদ্ধ থেকে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে দলের তৃণমূল নেতাদের নির্দেশনা দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই সঙ্গে আগামী নির্বাচনে দল যাকে মনোনয়ন দেবেন তার পক্ষে কাজ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। জনগণের কাছে গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে হওয়া ‘উন্নয়ন চিত্র’ তুলে ধরার পাশাপাশি আওয়ামী লীগকে সাংগঠনিক ভাবে আরো শক্তিশালী করারও আহ্বান জানান তিনি। সভায় তৃণমূল নেতারা নিজ নিজ এলাকার সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে অনিয়ম, স্বজনপ্রীতিঅভিযোগ তুলে ধরেন। সে সব অভিযোগ শুনে সে বিষয়ে যথাযথ সময়ে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা। এর আগে ‘বিশেষ বর্ধিত সভার’ শুরুতে দেওয়া বক্তব্যে দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ শুধুমাত্র দেশের জনগণের কাছে দায়বদ্ধ। আওয়ামী লীগের কোনো প্রভু নেই। মানুষের শক্তি হচ্ছে আওয়ামী লীগের শক্তি। জনগণের কাছে আমরা দায়বদ্ধ। তিনি বলেন, জনগণের কল্যাণে কাজ করি। নির্বাচনের সময় জনগণের কাছেই আমরা আমাদের দায়বদ্ধতা দেই- কতটুকু করতে পেরেছি, ভবিষ্যতে আমরা কি করবো। তিনি বলেন, সকলের জন্য আমরা কাজ করবো এটাই আমাদের প্রতিজ্ঞা। জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা আমরা গড়ে তুলবো। আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়নের কথা জনগণের কাছে তুলে ধরতে নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতিটি শ্রেণি পেশার মানুষের জন্য আওয়ামী লীগই কাজ করেছে। আগে অন্য কেউ কোনদিন মানুষের কথা ভাবেওনি, কিছু করেওনি। সেই কথাগুলো মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া। আমরা যে উন্নয়ন করেছি, পরিবর্তন এনেছি সেই তথ্যগুলো মানুষের কাছে দিবো, সেগুলো আপনারা মানুষের কাছে পৌঁছে দিবেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ২০০৯ সাল থেকে আজকে ২০২৩ সাল এই সাড়ে ১৪ বছরে এই বাংলাদেশে একমাত্র আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে বলে, সুষ্ঠু রিকল্পনা নিয়ে এগিয়েছে বলে আজকের বাংলাদেশ বদলে যাওয়া বাংলাদেশ। আজকের বাংলাদেশ বিশ্বে সম্মান পেয়েছে। দেশে দারিদ্র বিমোচনে আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, আজকে দারিদ্রের হার ৪১ ভাগে ছিল সেখান থেকে নামিয়ে ১৮ শতাংশে নামিয়ে এনেছি। আগামীতে ভোট পেয়ে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করতে পারলে দেশে দারিদ্রের হার আরও কমিয়ে আনার ঘোষণা দেন শেখ হাসিনা। ড. ইউনুসের প্রতিষ্ঠানকে ইঙ্গিত করে টানা তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বলেন, এক অর্থনীতিবিদ লিখেছেন কোন এক বিশেষ এনজিও ক্ষুদ্র ঋণে দেশে দারিদ্র কমেছে। আওয়ামী লীগ ২০০৯ এ সরকার গঠন করে ২০২৩ সাল পর্যন্ত রাষ্ট্র পরিচালনা করেই তো আজকে আমরা দারিদ্রের হার ১৮ শতাংশে নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছি। কোন বিশেষ এনজিওর ক্ষুদ্র ঋণে যদি দারিদ্র কমে তবে এই ১৮ ভাগ আগে কেন হয়নি। যারা বলে এনজিও ক্ষুদ্র ঋণে দারিদ্র কমেছে তারা কোন অংকে হিসাব করেন। দারিদ্র বিমোচন হয়েছে কারণ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে। আওয়ামী লীগের প্রতিটি প্রতিটি কর্মসূচি গণমুখী। তিনি বলেন, জনগণকে দারিদ্র মুক্ত করা, জনগণের শিক্ষার হার বাড়ানো, স্বাস্থ্য সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া, কর্মসংস্থানের জন্য বেসরকারি খাত উন্মুক্ত করে দেওয়া, তৃণমূল পর্যন্তÍ মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়নের ফলেই এই দারিদ্রের হার হ্রাস পেয়েছে। কোন এনজিও ক্ষুদ্র ঋণ দিয়ে দারিদ্র হ্রাস পায় নাই। শেখ হাসিনা আরো বলেন, উচ্চ সুদে যারা কাজ করবে তারা দারিদ্র মুক্ত হতে পারে না বরং তারা ঋণগ্রস্থ হয়ে, ঋণের ওপরই জীবন যাপন করতে হয়। কখনো তাদের আত্মহত্যা করতে হয়েছে, কখনো জমি-জমা সব বেচতে হয়েছে। আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র, মানুষের ভোটের অধিকারে বিশ্বাস করে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ২০০১ সালে সর্বপ্রথম বাংলাদেশের ইতিহাসে শান্তিপূর্ণ ভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছিল আওয়ামী লীগ। তখন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছিল তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে আসি। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে, আওয়ামী লীগ মানুষের ভোটের অধিকারে বিশ্বাস করে, সে কারণে আওয়ামী লীগ সুষ্ঠু ভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করে।