যোদ্ধা ডেস্কঃ গতকাল মঙ্গলবার রাতে বুড়িমারী স্থলবন্দরের শ্রমিক ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়েছে। নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি, জেলা প্রশাসন ও স্থানীয় প্রশাসনের সাথে বৈঠকে আলোচনার প্রেক্ষিতে শ্রমিকরা তাদের ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নিয়েছে। প্রতিমন্ত্রী লালমনিরহাটের পাটগ্রামস্থ বুড়িমারী স্থলবন্দর পরিদর্শন এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এসময় অন্যান্যের মধ্যে সংসদ সদস্য মোঃ মোতাহার হোসেন, সংসদ সদস্য এডভোকেট সফুরা বেগম, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য ট্রাফিক জাহাঙ্গীর কবীর, জেলা প্রশাসক মাহমুদুল্লাহ, পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বুড়িমারী স্থলবন্দরের মান বাড়াতে জমি অধিগ্রহণসহ অন্যান্য কাজ দ্রুত সমাধান করতে হবে। বিদ্যমান রাস্তাকে ফোর লেনে উন্নীত করার ব্যবস্থা করতে হবে। তিনি ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে বলেন, শ্রমিকদের ঠকাবেন না। এনালাইসিস করলে দেখা যাবে, শ্রমিকদের দাবি যৌক্তিক। শ্রমিকদের স্বার্থ ক্ষুন্ন করা যাবে না। ব্যবসা-বাণিজ্যে স্বচ্ছতা আনতে হবে। সিন্ডিকেট করা যাবে না। করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, বুড়িমারী স্থলবন্দরের অপর পাশে ভারতের চ্যাংড়াবান্ধা বন্দর রয়েছে। ২০১০ সালে বুড়িমারী স্থলবন্দরে অপারেশনাল কার্যক্রম শুরু হয়। ভারত, নেপাল, ভুটানের সাথে আমদানি রপ্তানির জন্য এ বন্দরটি গুরুত্বপূর্ণ। রাজধানী থেকে সড়কপথে বুড়িমাড়ী স্থলবন্দরের দূরত্ব ৪৫৭ কিলোমিটার। সড়ক ও রেলপথে রাজধানীসহ দেশের অন্যান্য স্থানের সাথে বুড়িমাড়ী স্থলবন্দরের ভালো যোগাযোগ ব্যবস্থা রয়েছে। এখানে ইমিগ্রেশনের ব্যবস্থা রয়েছে। প্রচুর সংখ্যক যাত্রী এ বন্দর দিয়ে যাতায়াত করে থাকে। ১১.৫১ একর জমির উপর প্রতিষ্ঠিত বুড়িমাড়ী স্থলবন্দরের পণ্য ধারণা ক্ষমতা ২০০০ মেট্রিক টন। বাংলাদেশ স্থলবন্দরের আওতায় ২৪ টি বন্দর রয়েছে। এর মধ্যে দশটি নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় এবং পাঁচটি বিওটি পদ্ধতিতে পরিচালিত হচ্ছে। নয়টি বন্দরের উন্নয়ন কার্যক্রম চলমান রয়েছে।